রাজ্যরাজনৈতিক নক্ষত্রদের বেনজির সমাবেশ, ব্রিগেডে পাঁচ মঞ্চ গড়ে চমক তৃণমূলের - News Sonar Bangla

Hot

Post Top Ad

Your Ad Spot

Tuesday, 15 January 2019

রাজ্যরাজনৈতিক নক্ষত্রদের বেনজির সমাবেশ, ব্রিগেডে পাঁচ মঞ্চ গড়ে চমক তৃণমূলের



নিউস সোনার বাংলা  : তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ 19 জানুয়ারি। আসন্ন লোকসভা ভোটের সলতে পাকাতে তৃণমূলের এই ব্রিগেড এখন গোটা দেশের রাজনৈতিক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তৃণমূল শীর্ষস্তর নিশ্চিত, শুধু রাজনৈতিক তাৎপর্যেই নয়, জমায়েতেও অতীতের সব ব্রিগেডকে ছাপিয়ে যাবে 19 জানুয়ারির ব্রিগেড।

এবারের মঞ্চ-বিন্যাসও নজিরবিহীন। মূল মঞ্চ সহ দু’পাশে 2টি করে মোট 5টি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে এবার। যা এর আগে ডান বা বাম, এমনকী তৃণমূলের কোনও ব্রিগেড সমাবেশেও হয়নি।

আরো পড়ুন বড়সড় ধাক্কা বিজেপির, রথযাত্রার অনুমতি দিল না শীর্ষ আদালত

দেশের রাজনৈতিক আকাশের মহানক্ষত্রদের সমাবেশ হবে এই ব্রিগেডে। সে কারনেই মঞ্চ বিন্যাসের পরিকল্পনাও অভিনব। মূল মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী- সহ শাসক দলের হাতেগোনা কয়েকজন নেতা-নেত্রী থাকবেন। ওই মঞ্চের মূল আকর্ষণ ভিন রাজ্য থেকে আসা বিরোধী রাজনীতির তারকারা। উচ্চতায় 12 ফুট এই মূল মঞ্চে একটি পোডিয়াম ছাড়া দুটি স্তর থাকবে। 100 ফুট লম্বা ও 45 ফুট চওড়া হবে মূল মঞ্চ। মূল মঞ্চের দ্বিতীয় স্তরটি হবে 100 ফুট লম্বা এবং দৈর্ঘ্যে 40 ফুট। ভিন রাজ্যের VVIP-দের জন্য মূল মঞ্চে আলাদা সিঁড়ি থাকছে। বাকি মঞ্চগুলিতে শাসকদলের সংসদ সদস্য, বিধায়ক, জেলা পরিষদ তথা পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিশিষ্টজনের বসার ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট কড়া হবে। তাই নির্দিষ্ট তালিকায় যাদের নাম থাকবে, তাঁরা ছাড়া কাউকেই মঞ্চের কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। আপাতত জানা গিয়েছে গোটা দেশের একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের শীর্ষনেতারা আসছেন। জানা গিয়েছে, প্রথমে না বললেও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এই সমাবেশে আসছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। জানা গিয়েছে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অখিলেশ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আসছেন। এখন কংগ্রেসের সঙ্গে কথা চলছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।



তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “এবারের ব্রিগেড সব দিক থেকেই ঐতিহাসিক। অতীতে মমতা যতবার ব্রিগেডের ডাক দিয়েছেন, নিশানায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার। বাম অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করাটাই ছিল সেই সব সমাবেশের প্রধান অঙ্গীকার। কিন্তু আগামী দিনে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র অক্ষুণ্ণ থাকবে কি না, সেটা নির্ধারিত হবে এই সমাবেশের সাফল্যের উপর। তাই বিজেপি বিরোধী শক্তির মহাসমাবেশ ঘটানোর ঐতিহাসিক দায়িত্ব এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের উপর।”
পার্থবাবুর ধারণা এই বিশাল ময়দানেও সব মানুষকে ঠাঁই দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই শহরের নানা জায়গায় LED স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে।




No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot