নিউস সোনার বাংলা: উনিশের ব্রিগেডে রাজনৈতিক নক্ষত্রের সমাবেশ ঘটছে। তাই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। সেই নিয়েই আজ নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মমতার আলোচনা হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পুলিশ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ১৯-এর ব্রিগেডে মোদী বিরোধী মহামঞ্চে ভিন রাজ্য থেকে কারা কারা আসছেন তা জানান মমতা। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা, দিল্লি থেকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, উত্তরপ্রদেশ থেকে সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এবং আরএলডি-র অজিত সিংহ, বিহার থেকে লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব, মহারাষ্ট্র থেকে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, কর্নাটক থেকে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া এবং তাঁর ছেলে তথা সে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, তামিলনাড়ু থেকে ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন, অসম থেকে এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল – এঁরা ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানিয়েছেন।
সোনিয়া গান্ধীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে সোনিয়া এই সমাবেশে যে আসছেন না, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এ দিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সনিয়াজির শরীরটা খারাপ।’ কংগ্রেসের তরফ থেকে মল্লিকার্জুন খড়্গে হাজির থাকবেন ব্রিগেড সমাবেশে, জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি বিজয়নকে ব্রিগেড সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিজয়ন বা সিপিএমের তরফে কোনও সাড়া যে মেলেনি, তা তৃণমূলনেত্রী এ দিন স্পষ্ট করে দেন।
ব্রিগেড সমাবেশে আমন্ত্রিতদের তালিকায় এমন কয়েকটা নাম রয়েছে, যে সব নাম বিজেপির অস্বস্তি অনেকটা বাড়াতে পারে। বাজপেয়ী জমানার দুই মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা এবং অরুণ শৌরি তো সেই তালিকায় রয়েছেনই। রয়েছেন পটনা সাহিব লোকসভা আসন থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা-ও। এ ছাড়াও গুজরাতের দলিত আইকন তথা নির্দল বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী এবং গুজরাতের পাটিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলও শনিবারের ব্রিগেডে আমন্ত্রিত।
No comments:
Post a Comment